বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে ও কেনো পালন করা হয়?

একই দিনে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। বর্তমানে সবাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতন। তাই আগের মতো অসুস্থতার পরিমাণ কমে গেছে। ইউনিসেফ কর্তিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সারা দেশে বেস সচেতনামুলক কাজ করতেছে। কিভাবে সুস্থাস্থ্য পাওয়া যাবে, রোগ ব্যাধি কম হবে এই বিষয়ে সকল দেশেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাই আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে ও কেনো পালন করা হয় তা জানাটা অনেক জরুরি। 

সারা বিশ্বের মানুষ স্বাস্থ্য দিবসে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিয়ে এক বিশেষ দিন পালন করে। এই দিনের মাধ্যমে সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতনা ও পরিবেশ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলে। এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তাহেই এই দিবস টি পালন করা হয়। প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৫০ সাল থেকে সকল দেশেই এটি পালন করে আসছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে 

যে দিবস গুলো সারা বিশ্বে একই সাথে পালিত হয় সেই দিবস কে বিশ্ব দিবস হিসেবে ধরা হয়। যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর সকল দেশেই পালন করা হয়। এই পদ্ধক্ষেপ এর পিছনে ইউনিসেফ বিশেষ অবদান রেখেছে। সকল সদস্য দেশে এখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা নিজে নিজে দেশের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করতেছে। জনসাধারণকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে আলোচনা করতেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ৭ এপ্রিল পালন করা হয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর থেকে এটি ১৯৫০ সালে কার্যক্রম শুরু করে দেয়। সকল দেশে এই দিবসের অন্তর্ভুক্ত হয়।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৩ 

একজন দেশের নাগরিক হিসেবে সকল জাতীয় ও বিশ্ব দিবসে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্য দিবসে সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনা করতে হবে। প্রয়োজনে গ্রাম বা শহরে সবাইকে নিয়ে বৈঠক বা সমাবেশের মাধ্যমে এই কাজ টি করা যেতে পারে। প্রতি বছরে এক বার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। তাই এই দিবস টি কবে তা জেনে এই দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৩ সালের ৭ই এপ্রিল। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস

যেকোনো দিবস বা উইতসব একটি ইতিহাস কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। ঠিক তেমনি এই স্বাস্থ্য দিবসের পিছনেও কিছু ইতিহাস রয়েছে। WHO যার পূর্ণরূপ World Health Organization (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য দিবস টি এই সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য কাজ করতেছে। এই সংস্থায় অনেক দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১৯৪৬ সালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন সম্পর্কে জাতিসংঘ একটি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে তারা বিশ্বের সকল মানুষের রোগ ব্যাধি বা স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য সবাইকে ডাকে। 

এরপর ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়। অর্থাৎ ৭ এপ্রিল ” বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ” বলে নির্ধারিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর এপ্রিলের ৭ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা শুরু হয়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কেনো পালন করা হয়

এর প্রধান সংস্থা হচ্ছে World Health Organization (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। তারা প্রতি দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে কাজ করে থাকে। এছাড়া শিশুদের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করতেছে। নতুন নতুন রোগের টিকা দেওয়া, পোলিও খাওয়ানো ইত্যাদি এই সংস্থার মাধ্যমে করা হয়। এই দিসবস সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ জনগণ কে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সেবা দেওয়া। কিভাবে রোগ মুক্ত থাকা যায়, শিশুদের রোগ মুক্ত রাখা যায় ও কি কি করলে পরিবেশে ব্যাধি কম সৃষ্টি হবে এই সব কিছু সবাইকে জানানো। তাই আমাদের সবারই উচিৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস সম্পর্কে জানা ও সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন করে তুলা। 

শেষ কথা 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গঠনের ফলে সারা বিশ্বে এক প্রকারের সতেচনা তৈরি হয়েছে। সবাই এখন সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে অবগত আছে। তাই আমাদের সবাইকে এই দিবস সঠিক ভাবে পালন করতে হবে এবং সবাইকে এই ব্যাপারে জানাতে হবে। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখনা থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কবে ও কেনো পালন করা হয় তা জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। 

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *