পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে সকল মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। আর পবিত্র এই রমজান মাসের সর্বোত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর এর রাত। কেননা পবিত্র এ রাতে আমাদের পবিত্র কোরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। তাই এ রাতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ইবাদত বন্দের মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি কামনা করে থাকে।
সকল মুসলমানগন এ রাতে নফল নামাজ ও অন্যান্য এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে অনেকে ইন্টারনেটে পবিত্র শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে ইন্টারনেটে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাই এখন আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত বাংলা ও আরবি ভাষাতে শেয়ার করব। সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
শবে কদর এর নামাজ
পবিত্র রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং অমান্বিত একটি রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। এই রাতে মুসলমানদের সর্বোত্তম গ্রন্থ পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। শবে কদর এর রাতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এই রাতে এবাদত করা যেতে পারে।
এছাড়াও কোরআন তেলাওয়াত করা বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা ও দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে পবিত্র এই রাতের এবাদত করা যেতে পারে। শবে কদরের এবাদত হচ্ছে নফল ইবাদত। তাই আপনি চাইলে দুই রাকাত করে করে আপনার যত খুশি তত রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।
শবে কদর নামাজ কত রাকাত
আজকে ১৮ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে পবিত্র শবে কদরের রাত। মহামান্বিত এ রাতে পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। আজকে এই মহান রাতে সকল ধর্মগ্রন্থ মুসলমানগণ নফল ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করবে। অনেকে ইন্টারনেটে পবিত্র শবে কদর নামাজ কত রাকাত তা জানতে চেয়ে থাকে। আসলে বলতে গেলে শবে কদরের নির্দিষ্ট কোন নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই।
আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী দুই রাকাত করে করে যত খুশি তত রাকাত শবে কদরের নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতি চার রাকাত নামাজ আদায় করার পর দোয়া করতে পারেন। নফল নামাজের পাশাপাশি আপনি চাইলে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন ও দোয়া করতে পারেন।
শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম
আজকে পবিত্র শবে কদরের রাত। পবিত্র এ রাতে কুরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। বিশেষ এ রাতে সকল ধর্ম ও প্রাণ মুসলমানগণ এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। শবে কদরের রাতের ইবাদত হচ্ছে একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে নফল নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। এজন্য অনেকেই ইন্টারনেটে শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেকে ইন্টারনেটে আজকে শবে কদরের নামাজ কিভাবে আদায় করবে বা নামাজ পড়ার নিয়ম কি তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এখন আমি আপনার সাথে ধাপে ধাপে লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
পবিত্র ও অত্যন্ত মহামান্বিত এই রাতের নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এই রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। আপনি যত খুশি তত রাকাত নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন। অনেকেই আবার পবিত্র শবে কদরের রাতে দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত শবে কদরের নামাজ আদায় করে। এরপর তাদের অনুযায়ী যত ইচ্ছা তত দুই রাকাত করে শবে বরাতের নফল নামাজ আদায় করে থাকে।
যেহেতু পবিত্র এই রাতের আলাদা করে কোন নামাজের নিয়ম নেই তাই। লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে, যত মনোযোগ সহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি দোয়া পড়বেন। ইস্তেগফার পড়বেন। তওবা করবেন।
লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত
যেকোনো নামাজ আদায় করতে হলে শুরুতে আপনাকে নামাজের নিয়ত করতে হবে। নিয়ত করা ব্যতীত আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। আজকে যেহেতু পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল কদরের রাত, তাই অবশ্যই এই নামাজের নিয়ত করার মাধ্যমে আপনার নামাজ শুরু করতে হবে বা আদায় করতে হবে। আপনি চাইলে বাংলা অথবা আরবি ভাষাতেই নিয়ত করতে পারেন।
আপনি যদি আরবি ভাষায় নিয়ত করতে জানেন তাহলে অবশ্যই আরবি ভাষায় পবিত্র লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত করবেন। আর আপনি যদি আরবি ভাষা না জেনে থাকেন তাহলে বাংলা ভাষাতেই পবিত্র এই নামাজের নিয়ত করতে পারেন।
শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি
আজকে যেহেতু পবিত্র শবে কদরের রাত তাই এ রাতে নামাজ আদায়ের জন্য অনেকে ইন্টারনেটে শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি ভাষায় খুজতেছে। এজন্য আমি নিচের অংশে আপনার জন্য লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত আরবি ভাষায় এবং এর বাংলা অর্থ শেয়ার করেছি।
‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’
অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
শেষ কথা
অন্যান্য রাতের চেয়ে হাজার গুণ উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র সবে কদরের রাত। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে পবিত্র এ রাতে পবিত্র কোরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। পবিত্র শবে কদরের রাত উপলক্ষে অনেকেই নফল নামাজ আদায় করতে চায়। তাই আজকের এই পোস্টে আমি ইতোমধ্যে আপনাদের সাথে শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতিমধ্যেই আপনি এই প্রশ্নের মাধ্যমে শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।